নোবেল পুরস্কার ২০১৬
![]() |
২০১৬ সালে পদার্থ,
রসায়ন, অর্থনীতি, সাহিত্য, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শান্তি এই ৬ ক্যাটাগরিতে মোট ১১ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাদের নিয়েই আমার আজকের আয়োজন—
>>
নোবেল পুরস্কার নিয়ে কিছু কথাঃ
১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে
আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% অর্থ প্রায় ৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার দিয়ে উইলের
মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান,
রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল
পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮-তে এই তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।
১০ ডিসেম্বর ১৮৯৬ সালে
স্যান রিমো ইতালিতে পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল।
আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। ফাউন্ডেশনের ওপর
দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করা এবং
নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। আর বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ
একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।
২১ অক্টোবর ১৮৩৩ সালে
সুইডেনের স্টকহোমে একটি প্রকৌশল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে
রসায়নবিদ, প্রকৌশলী ও একজন উদ্ভাবক।
তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৩৫৫টি উদ্ভাবন করেন। যার মাধ্যমে তিনি জীবদ্দশায় প্রচুর
ধন-সম্পদের মালিক হন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ডিনামাইট। এই ডিনামাইট
ব্যবহারের ফলে ১৮৮৮ সালে তিনি মৃতদের তালিকা দেখে কষ্ট পান। পরবর্তীতে তিনি তার
অর্জিত সব সম্পদ দিয়ে নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তন করেন।
আলফ্রেড নোবেলের
মৃত্যুদিবস ১০ ডিসেম্বর নরওয়ের অসলোতে শান্তি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। আর অন্যান্য
পুরস্কারগুলোও একই দিনেই সুইডেনের স্টকহোমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শান্তিতে
পুরস্কার ঘোষণা করে নোবেল কমিটি অব নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট; পদার্থ, রসায়ন আর
অর্থনীতিতে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স; সাহিত্যে সুইডিশ একাডেমি এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে ক্যারেলিনস্কা
ইনস্টিটিউট।
>>
সাহিত্যে বব ডিলানের নোবেল জয়
ডিলানের সবচেয়ে বিখ্যাত
গানগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে সাবটেরিয়ান হোমসিক ব্লুজ, মিস্টার ট্যাম্বুরিন ম্যান, জাস্ট লাইক অ্যা ওম্যান, লে লেডি লে, ট্যাঙ্গেলড আপ ইন
দ্য ব্লু-এর মতো সব গান। বব ডিলানের গানে সবসময় উঠে এসেছে রাজনীতি, সমাজ আর দর্শনের ছায়া। বব ডিলান ১৯৭১ সালে ১ আগস্ট ‘কনসার্ট
ফর বাংলাদেশ’ এ অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের দুস্থ শরণার্থীদের কল্যাণে তহবিল
সংগ্রহের জন্য অনুষ্ঠানটি হয়েছিল নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে। এ জন্য
বাংলাদেশের মানুষ বব ডিলানের প্রতি বরাবরই কৃতজ্ঞ। ৭৫ বছর বয়সী বব ডিলান এখনো
শ্রোতাদের জন্য নিয়মিত গান গেয়ে যাচ্ছেন।
>>
অর্থনীতিতে দুই মার্কিনির চমক
অর্থনীতিতে নোবেল দেওয়া
শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে। এ বছর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার
জিতে নিয়েছেন দুই মার্কিন অর্থনীতিবিদ। তাদের একজন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের
ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ অলিভার হার্ট এবং আরেকজন ফিনল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ম্যাসাচুসেটস
ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ বেঙ্কট হোমস্ট্রর্ম। সুইডেনের
স্থানীয় সময় সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে সুইডিশ নোবেল কমিটি অব সায়েন্স ২০১৬ সালের
পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। বাজার অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে
কন্ট্রাক্ট থিওরিতে অবদানের কারণে এ দুই বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আধুনিক অর্থনীতি শত সহস্র চুক্তিতে নানা রকম বাধা ও সমস্যা দেখা দেয়। চুক্তির
সঙ্গে অর্থনীতির এই সম্পর্কের তত্ত্ব দিয়ে নোবেল জিতে নিয়েছেন এই দুই গবেষক।
কন্ট্রাক্ট থিওরি নিয়ে এই দুই গবেষকের কাজ বাস্তব জীবনের বিভিন্ন চুক্তি ও এর
প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহার বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। চুক্তি কাঠামোর সম্ভাব্য
জটিলতা চিহ্নিত করতেও তাদের তত্ত্ব কাজে আসছে। অধ্যাপক বেঙ্কট হোমস্ট্রর্ম
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে কর্মরত আছেন।
আর হার্ট হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক। হার্টের গবেষণার কেন্দ্র
ছিল সেবা খাতের বিরাষ্ট্রীকরণ এবং দুই কোম্পানির একীভূতকরণের মতো বিষয়ের চুক্তির
ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ। হোমস্ট্রর্ম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন তার চুক্তি আর
প্রণোদনা করপোরেট খাতকে কতটা প্রভাবিত করে এ বিষয়ে গবেষণার জন্য। নোবেল পুরস্কারের
৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার এ দুই গবেষকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
>>শান্তিতে নোবেল জিতলেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
২০১৬ সালে নোবেল শান্তি
পুরস্কারের মনোনয়নের তালিকায় রেকর্ড ২২৮ জন ব্যক্তি ও ১৪৮টি সংগঠনের নাম জমা পড়ে।
অনেক জল্পনার পর অবশেষে অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা গৃহযুদ্ধের অবসানের
জন্য এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতে নেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান
ম্যানুয়েল সান্তোস। ৭ অক্টোবর স্থানীয় সময়
বেলা ১১টার দিকে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস তার নোবেল পুরস্কারের
অর্থ দেশটির অর্ধশতকের গৃহযুদ্ধের শিকারদের সহায়তার জন্য দান করার ঘোষণা দিয়েছেন।
১৯৫১ সালের ১০ আগস্ট
বোগোটার এক প্রভাবশালী পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
২০১০ সালে প্রেসিডেন্ট
হওয়ার পর পূর্বসূরির নীতি থেকে সরে আসেন সান্তোস। ভেনেজুয়েলার বামপন্থি সরকারের
সঙ্গে বৈরিতার অবসান ঘটান। এরপর বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি এগিয়ে নেওয়ার
প্রতিশ্রুতি দিয়েই ২০১৪ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন সান্তোস। বহুল
প্রত্যাশিত এই শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ৫২ বছরের রক্তাক্ত সংঘাতের ইতি
টেনেছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস। তবে ফার্ক বিদ্রোহী নেতা
লোন্দোনিও তিমোশেঙ্কোও এই চুক্তি বাস্তবায়নে অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন। নোবেল কমিটির
সম্ভাব্য তালিকায় লোন্দোনিওর নাম থাকলেও শেষ পর্যন্ত পুরস্কার জিতে নিলেন হুয়ান
ম্যানুয়েল সান্তোস। কলম্বিয়ায় এই গৃহযুদ্ধে ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।
>>চিকিৎসাশাস্ত্রে
ইয়োশিনোরি ওশুমির সাফল্য
কোষের আত্মভক্ষণবিষয়ক
ধারণা দেওয়ায় চিকিৎসাশাস্ত্রে এবার নোবেল পেয়েছেন ইয়োশিনোরি ওশুমি। তিনি জাপানের
টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক। নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার পর তিনি এক
সংবাদ সম্মেলনে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, শৈশবে অনেক দিন তিনি অনাহারে কাটিয়েছেন।
আর্থিক অসঙ্গতি না থাকলেও
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাবে ওশুমিকে অভাবের মধ্য দিয়ে বড় হতে হয়। স্কুলে তেমন মেধাবী ছিলেন
না। সেই কম মেধাবী ছেলেটাই গোটা পৃথিবীকে আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন ‘পরিশ্রম
সৌভাগ্যের প্রসূতি’। তার বাবা ও পিতামহ উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন।
ছোটবেলায় মাকে দেখেছেন যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে থাকতে। তখনই
প্রথম মায়ের পথ্য অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধবিষয়ক ধারণা প্রথম পান। পরবর্তীতে তিনি
ইয়োকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি তার গবেষণায় দেখান যে, দেহ নিজেই তার কোষ
ধ্বংস করছে। তবে এই আত্মভক্ষণ কোষের একটি স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। কোনো কারণে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটলে নিজের
সুরক্ষার জন্য কোষ ধ্বংস করতে দেহ ওই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।
পাশাপাশি নতুন কোষের জন্য
জায়গা ছেড়ে দিতে পুরনো কোষ এভাবেই তার আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করে। ১৯৮৮ সালে
ইয়োশিনোরি ওশুমি প্রথম এই ধারণা দেন। তার গবেষণার প্রায় ৩০ বছর পর তিনি এ বিষয়ে গবেষণার
স্বীকৃতিস্বরূপ এই নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন।
>>ইলেকট্রনিক্সে
নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে পদার্থে নোবেল জয়
১৯০১ সালের পর এ নিয়ে এ
পর্যন্ত মোট ২০৪ জন পদার্থে নোবেল পুরস্কার জিতেন। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব
সায়েন্সেস ২০১৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে অবদানের জন্য তিন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন
বিজ্ঞানী ডেভিড জে থুলেস, এফ ডানকান এম
হালডেন ও জে মাইকেল কোস্টারলিটজের নাম ঘোষণা করে। নিজেদের তাত্ত্বিক পাটাতনে
পদার্থের আন্দোলিত অবস্থার দিশা দেওয়ার অবদানস্বরূপ এই তিন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত
মার্কিন বিজ্ঞানীকে পদার্থে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। তাদের গবেষণা ইলেকট্রনিক্সে
বিপুল অগ্রগতি আনবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সুইডিশ একাডেমি। এ গবেষণায় এক অজানা দশার
সন্ধান ব্যাখ্যা করা হয়েছে যেখানে পদার্থ বিচিত্র বাস্তবতায় বদলে যেতে পারে। আমরা
জানি পদার্থের অবস্থান তিনটি। কঠিন, তরল ও বায়বীয়—এই তিন অবস্থার একটি থেকে অন্যটিতে পরিবর্তিত হওয়ার সময় পদার্থ
ওই বিচিত্র দশায় অবস্থান করে। এই দশাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন এই তিন
পদার্থবিদ। আর দশা শনাক্তকরণে তারা চমৎকার গাণিতিক ব্যাখ্যা ব্যবহার করেছেন। এই
গাণিতিক ব্যাখ্যা ব্যবহার করার জন্যই তাদের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
তাদের গবেষণায় তারা সুপার কন্ডাক্টর, সুপার ফ্লুইড ও পাতলা ম্যাগনেটিক ফিল্মের আচরণ বুঝতে উচ্চতর গাণিতিক পদ্ধতি
ব্যবহার করেছেন।
তাদের গবেষণার ফলে
ইলেকট্রনিক্সে নতুন সম্ভাবনার দিশা পাওয়া গেছে। ডেভিড জে থুলেস ওয়াশিংটন
ইউনিভার্সিটিতে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। আর এফ ডানকান এম হালডেন
ইউনিভার্সিটি অব সাউথার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় যোগ দেওয়ার আগে ফ্রান্সে ফিজিওসিস্ট
হিসেবে কাজ করেছেন। ফিনল্যান্ড এ জে মাইকেল কোস্টারলিটজ রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ
করছেন অল্টো ইউনিভার্সিটিতে। এই নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে দুই ভাগে। প্রথম ভাগের
পুরস্কার পাবেন বিজ্ঞানী ডেভিড থুলেস। অন্য ভাগের পুরস্কার পাবেন বাকি দুই
বিজ্ঞানী।
>>
রসায়নে তিন বিজ্ঞানীর অর্জন
রসায়নশাস্ত্রে
নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী— ফ্রান্সের জ্যঁ পিয়েরে সাভেজ, যুক্তরাজ্যের স্যার জে ফ্রেজার স্টোডার্ট এবং
নেদারল্যান্ডসের বার্নার্ড এল ফেরিঙ্গা। এই তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে পুরস্কারের আট
মিলিয়ন ডলার ভাগ হবে। সুইডিশ নোবেল কমিটির বক্তব্যে বলা হয়, বিশ্বের ‘সবচেয়ে ক্ষুদ্রতর যন্ত্র’ তৈরির জন্য তিনজন
যৌথভাবে এ পুরস্কার জিতেছেন।
তারা তাদের গবেষণায় অণু
সমতুল্য ক্ষুদ্রতম যন্ত্রের নকশা ও সংশ্লেষণ করেছেন। ন্যানো প্রযুক্তির ইতিহাসে এই
গবেষণা নতুন একটি মাত্রা যুক্ত করেছে। তাদের অবদান রসায়নশাস্ত্রকে ভিন্নতর উচ্চতায়
পৌঁছে দেবে। সুইডেনে একটি সংবাদ সম্মেলনে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। বিজয়ী এই তিন
বিজ্ঞানী ১৯০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০০ জনের তালিকায় যুক্ত হলেন। (সংগৃহীত)



Comments
Post a Comment